You are currently viewing বিশ্বাসঘাতক – দশরথ কর্মকার

বিশ্বাসঘাতক – দশরথ কর্মকার

একদিকে        কঠিন রাগে রুষ্ট সিরাজ

          সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজদের প্রতি,

          দম্ভ তাদের দেখতে নারাজ

          ভাঙবে সে তাদের বুকের ছাতি ।

          তাইতো যুদ্ধে নিয়েছে প্রস্তুতি ।

অন্যদিকে          সেনাপতি মিরজাফর ইংরেজদের সনে,

          চুক্তি করেছে গোপনে ।

          বাংলার নবাব সে হবে,

          যদি পরাজিত হয় সিরাজ

          পলাশীর রণে ।

তাইতো      বিবেকহীন বাংলার সেনাপতি

          উল্লাসে হাসিয়া কই –

          ইহা আমার মতি –

                      ‘পরাজিত তো হবেই নবাব ;

         এটাই মিরজাফরের শেষ জবাব।’

এবার      সিরাজ পলাশীর প্রান্তরে-

                      সাম্রাজ্যবাদীদের পরাজিত করবে,

                     এই আশা রয়েছে তার অন্তরে।

        যে সফল সে হবেই হবে

       এটাই সে মনে মনে ভাবে।

কিন্তু     হলনা বয়ে গেল এক কঠিন দিন

       পরাজিত করল তাঁকে ঐ বিবেকহীন

       সেনাপতির বিশ্বাসঘাতকতা।

তাইতো   নির্লজ্জ সাম্রাজ্যবাদীরা অর্জন করল

       এই যুদ্ধের সফলতা ।

       চুক্তি অনুযায়ী ইংরেজরা মিরজাফরের

       হাতে করল অর্পণ ।

       এই বাংলার সিংহাসন ।

       বাংলার মসনদে বসিয়া বিশ্বাসঘাতক,

       সুখে করে দিন যাপন ।

একি!          টিকলোনা বেশী দিন তার এই সুখ

      বুঝতে পারলো প্রকৃত রাজা দ্বিমুখ,

      তবে কি তারাও বিশ্বাসঘাতক?

      কথাতো ছিলনা এমন –

      যে তারা নবাবকে করবে শাসন ৷

সাম্রাজ্যবাদীরা         শাসিয়ে গেল ‘তুমি বিশ্বাসঘাতক নবাব

            তুমি প্রবঞ্চক, তুমি মোদের হাতের পুতুল,

            আর প্রলোভন দেখানো আমাদের স্বভাব

            এইভাবে আমরা বজায় রাখি ‘দু-কূল’।।

Leave a Reply