বিপদে অবিচল থাকুন, ধৈর্য ধারণ করুন, সন্ত্রস্ত হবেন না, বিপদ মুক্তির পথ পেয়ে যাবেন।
বোকাদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসে না।
পীড়িত ব্যক্তি ভাবে তার পীড়া আর কোনোদিন বোধ হয় নিরাময় হবে না। কিন্তু অচিরেই সে তার ভুল বুঝতে পারে। কোনো পীড়াই দীর্ঘস্থায়ী নয়।
দুঃসংবাদ শুনে আপনি কখনোই ঘাবড়াবেন না বা দুর্ভাবনায় ভেঙে পড়বেন না। কারণ সুসংবাদ যেমন দুঃসংবাদও তেমনি জীবনের স্বাভাবিক ঘটনা।
মানুষ নানাবিধ সমস্যার ভারে প্রপীড়িত এবং জর্জরিত, তবু আপনি সমস্যাটা বা সমস্যাগুলো সমাধানের চিন্তা করুন কিন্তু দুশ্চিন্তা করবেন না।
দুশ্চিন্তার হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে নিজেকে সব সময় কাজের মধ্যে দায়িত্বের মধ্যে ব্যস্ত রাখুন।
দুঃখ-দুর্দশা এড়াবার জন্যে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন সবচেয়ে খারাপ কী ঘটতে পারে। সেটা যখন ঘটবেই তখন সেটাকে গ্রহণীয় করে তুলুন। তারপর শান্তভাবে চিন্তা করুন সবচেয়ে খারাপ অবস্থা থেকে কিভাবে উন্নতি করা সম্ভব।
আমরা জীবনযুদ্ধের ঝড় এবং হিমবাহের ধাক্কা অনেক সহ্য করতে পারি, কিন্তু ছোট ছোট দুশ্চিন্তা যা আমরা দুটি আঙুলের সাহায্য মেরে ফেলতে পারি, তার কাছে পরাস্ত হই।
যখন আমরা সবচেয়ে খারাপ ব্যাপারটা গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকি তখন আর কিছু আমাদের হারাবার থাকে না।
আমরা আমাদের তুলনা করি যারা আমাদের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে তাদের সঙ্গে। আমরা যদি আমাদের চেয়ে যারা খারাপ অবস্থায় আছে, তাদের সঙ্গে তুলনা করতাম, তাহলে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারতাম।
জুয়া খেলে কখনো কেউ বড়লোক হতে পারে না বরং সর্বশাস্ত হয়েছে পরিণামে।
জনপ্রিয়তা বাড়াবার চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে এই সত্যের মধ্যে যে নিমেষে নিজেকে অন্যের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।
জনপ্রিয়তাকে ধরে রাখা কষ্টকর।
আমরা যদি দুশ্চিন্তা বন্ধ করে জীবনকে উপভোগ করতে চাই, তাহলে তার সহজ পথ হল আমাদের দুঃখের হিসাব না করে কত সুখ তার হিসাব করা।
চিন্তা ও দুশ্চিন্তার মধ্যে পার্থক্য হল যখনি আমি প্রচুর গাড়িচলা নিউইয়র্কের রাস্তার পার হই, তখন চিন্তা করি দুশ্চিন্তা করি না। চিন্তা মানে সমস্যার সমাধান করা, দুশ্চিন্তা মানে পাগল করে দেওয়া। অর্থহীন ঘুরপাক খাওয়া ।
খ্যাতির সাথে সাথে অর্থও আসে।
যদি আমরা খুব চিন্তা করি, তাহলে দুঃখী হই। যদি খুব দুঃখের চিন্তা করি, তাহলে দুঃখী হব। যদি কেবল ভয়ের চিন্তা করি, তাহলে ভীত হব। যদি রোগ সম্বন্ধে চিন্তা করি তাহলে হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়ব।
আমরা কী চিন্তা করি সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।
একজন লোককে খাইয়ে যতটা সন্তুষ্ট করা যায় আর কিছুতে নয়।
অনেকে অভিযোগ করেন একটু কাজ করলেই তারা হাঁপিয়ে ওঠেন। এটা আর কিছু নয় এ হল কাজের প্রতি অনীহা।
নিষ্ঠা ও একাগ্রতা দ্বারা কাজ করলে সাফল্য আসবেই-এ কথা সকল ক্ষেত্রের জন্যেই প্রযোজ্য।
কাজের দক্ষতা কমে যাবার একমাত্র বাস্তব কারণ হল বিরক্তি।
কর্মহীন জীবন হতাশার কফিন জড়ানো একটি জীবন্ত লাশ।
মিথ্যা ওজর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধরা পড়ে যায় এবং অবশেষে তা লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আমাদের ক্লান্তির অন্যতম কারণ একঘেঁয়েমি।
উন্নতি করতে হলে আত্মীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের সহযোগিতা লাগেই।
তোমার ইচ্ছানুযায়ী জগতে সবকিছু হবে এটা তুমি আশা করো কী করে ?
সমস্যায় পড়লে মানুষের সাথে পরামর্শ করো। কারো সদুপদেশ তোমার সমস্যা থেকে উত্তীর্ণের পথ দেখত পারে।
প্রত্যেকের আয়ু একদিন সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। এই সীমাবদ্ধ আয়ুর জীবনকে যদি আমরা নানা উপায়ে বৈচিত্র্যমণ্ডিত করে তুলতে পারি, সেটাই হবে জীবনের সান্ত্বনা।
মানুষ সব সময় সব অবস্থায় আমিকে খোঁজে। আমি কে, আমি কি, আমি কোথায়? এই আমিত্ব নিয়েই মানুষের জীবন সাধনা। যেখানে আমি নেই, সেখানে তছনছ হয়ে গেলেও আগ্রহ প্রকাশকে অকারণ বলে মনে করে চরম উপেক্ষা দেখায় ৷
অলস ব্যক্তিরা অতি শীঘ্র নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনে। যে ক্রোধ দমন করতে পারে অথবা প্রয়োজনমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, অশান্তি তার থেকে দূরে অবস্থান করে।
আপনার যাকে যা ভালোলাগে সেটাই আপনার আদর্শ।
হাসি আর কান্না দিয়েই তো অভিনয়। আমাদের সবাইকে কখনো হাসতে কখনো কাঁদতে হয়—সুতরাং আমরা একার্থে অভিনেতা।
ভদ্র আচরণ করতে শিক্ষা লাগে। অভদ্র আচরণ করতে অজ্ঞতাই যথেষ্ট।
অনুকরণ নয়, অনুসরণ নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন।
অবিবাহিত লোকের কাছে তার জীবনের চেয়ে টাকার লোভই বেশি হয়।