Some Motivational Speech By Sheikh Saadi

মুখের কথা হচ্ছে থুথুর মত, যা একবার মুখ থেকে ফেলে দিলে আর ভিতরে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই কথা বলার সময় খুব চিন্তা করে বলা উচিত।

প্রতিশ্রুতি খুব কম দিও। দয়া করবার আগে ন্যায়বান হও।

না শিখিয়া ওস্তাদি করিও না।

তুমি বদ, লোকে বলে সৎ-ইহা অপেক্ষা তুমি সৎ, লোকে বলে বদ, ইহা ভালো।

নিজের হাতের উপার্জিত একটি রুটি, অন্যের দয়ায় দেওয়া কোরমা পোলাওয়ের চাইতেও উত্তম।

ইহ- পরকালে যাহা আবশ্যক তাহা যৌবনে সংগ্রহ করিও।

কোন কাজেই প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাস করিও না|

বল অপেক্ষা কৌশল শ্রেষ্ঠ ও কার্যকারী।

প্রতাপশালী লোককে সবাই ভয় পায় কিন্তু শ্রদ্ধা করে না।

আগন্তুকের কোনো বন্ধু নেই, আরেকজন আগন্তুক ছাড়া।

যে মিথ্যায় মঙ্গল নিহিত তাহা অসৎ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত সত্য অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর।

লৌহদন্ড প্রস্তরগাত্রে যেমন বিদ্ধ হয় না, তেমনি কৃষ্ণ অন্তরেও সদুপদেশ ক্রিয়া করে না।

স্ত্রী লোককে বেশী বিশ্বাস করিও না।

দুই শত্রুর মধ্যে এমন ভাবে কথাবার্তা বল, তারা পরস্পরে মিলে গেলেও যেন তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়।

এমনভাবে জীবনযাপন করে যেন কখনো মরতে হবে না, আবার এমনভাবে মরে যায় যেন কখনো বেচেই ছিল না।

বানরকে স্নেহ করিলে মাথায় উঠে।

অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়ে কৃতজ্ঞ কুকুর শ্রেয়।

যে সৎ হয় নিন্দা তার কোন অনিষ্ট করতে পারে না!

একজন ঘুমন্ত ব্যক্তি আর একজন ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগ্রত করতে পারে না।

তুমি বদ, লোকে বলে সৎ-ইহা অপেক্ষা তুমি সৎ, লোকে বলে বদ, ইহা ভালো।

মিথ্যাবাদীর স্বরণশক্তি অধিক|

যে ব্যক্তি কাউকে গোপনে উপদেশ দিল সে তাকে খুশি করল ও সুশোভিত করল আর যে ব্যক্তি প্রকাশ্যে কাউকে উপদেশ দিল সে যেন তাকে লাঞ্ছিত ও কলঙ্কিত করল।

অযোগ্য লোককে দায়িত্ব দেওয়া চরম দায়িত্বহীনতা।

পরিক্ষা ভিন্ন কিছু বিশ্বাস করিও না।

তিন জনের নিকট কখনো গোপন কথা বলিও না- (ক) স্ত্রী লোক. (খ) জ্ঞানহীন মূর্খ. (গ) শত্রু।

বিদ্যা এমন সম্পদ যা বিতরণে বাড়ে।

আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই। তারপর সেই মানুষকে ভয় পাই যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না।

বাঘ না খেয়ে মরলেও কুকুরের মতো উচ্ছিষ্ট মুখে তুলে না।

হিংস্র বাঘের উপর দয়া করা নীরিহ হরিনের উপর জুলুম করার নামান্তর।

বিড়ালকে স্নেহ করিলে কোলে উঠে।

এক জনের জুতো নেই। এই নিয়ে তার আক্ষেপ। তার আক্ষেপ ঘুচল। কেননা সে দেখল এক জনের পা-ই নেই।

সকল কাজেই মধ্যপন্থা অবলম্বন করিও।

তুমি যদি উচচ সম্মান লাভ করিতে চাও তবে অধীনস্থ ব্যক্তিকে নিজের মতো দেখতে অভ্যাস করো। তাকে সামান্য মনে না করিয়া সম্মান করিবে।

পথের সম্বল অন্যের হাতে রাখিও না।

দেয়ালের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় সতর্ক হয়ে কথা বলো, কারন তুমি জান না দেয়ালের পেছনে কে কান পেতে দাঁড়িয়ে আছে।

ভদ্র লোক সেই, যে সত্যের উপাসক।

মন্দ লোকের সঙ্গে যার উঠা বসা, সে কখনো কল্যানের মুখ দেখবে না।

অজ্ঞের পক্ষে নীরবতাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এটা যদি সবাই জানত তাহলে কেউ অজ্ঞ হত না।