বাছা রে, তোর চক্ষে কেন জল
কে তোর যে কী বলেছে
আমায় খুলে বল।
লিখতে গিয়ে হাতে মুখে
মেখেছ সব কালি
নোংরা বলে তাই দিয়েছে গালি
ছি ছি উচিত একি
পূর্ণশশী মাখে মসী
নোংরা বলুক দেখি।।
বাছারে তোর সবাই ধরে দোষ
আমি দেখি সকল- তাতে
এদের অসন্তোষ
খেলতে গিয়ে কাপড়খানা
ছিঁড়ে খুঁড়ে এলে
তাই কি বলে লক্ষ্মীছাড়া ছেলে?
ছি ছি কেমন ধারা?
ছেঁড়া মেঘে প্রভাত হাসে
সে কি লক্ষ্মীছাড়া।।
কান দিয়োনা তোমায় কে কী বলে
তোমার নামে অপবাদ যে
ক্রমেই বেড়ে চলে।
মিষ্টি তুমি ভালোবাস
তাই কি ঘরে পরে
লোভী বলে তোমার নিন্দে করে
ছি ছি হবে কী
তোমায় যারা ভালোবাসে
তারা তবে কী।।
ফাল্গুন
ফাল্গুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল,
ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্রমুকুল।
চঞ্চল মৌমাছি গুঞ্জন গায়,
বেণুবনে মর্মরে দক্ষিণ বায়
স্পন্দিত নদীজল ঝিলিমিলি ক
জ্যোৎস্নার ঝিকিমিকি বালুকার চরে।
নৌকা ডাঙায় বাঁধা কাণ্ডারি জাগে,
পূর্ণিমা রাত্রির মত্ততা লাগে।
খেয়াঘাটে ওঠে গান অশ্বত্থ তলে,
পান্থ বাজায় বাঁশি আনমনে চলে।
ধায় সে বংশীরব বহুদূর গাঁয়,
জনহীন প্রান্তর পার হয়ে যায়।
দূরে কোন শয্যায় এক কোন ছেলে
বংশীর ধ্বনি শুনে ভাবে চোখ মেলে-
যেন কোন যাত্রী সে, রাত্রি অগাধ,
জ্যোৎস্না সমুদ্রের তরি যেন চাঁদ।
চলে যায় চাঁদে চড়ে সারারাত ধরি
মেঘেদের ঘাটে ঘাটে ছুঁয়ে যায় তরি।
রাত কাটে, ভোর হয়, পাখি জাগে বনে-
চাঁদের তরণী ঠেকে ধরণীর কোণে।