এখনো কাঁপিছে তবু, মনে নাহি পড়ে ঠিক,
এসেছিল—বসেছিল—ডেকেছিল হেথা পিক।
কখনো কাঁপিছে নদ, ভাবিতেছে বার বার,
ঢলিয়া কি পড়েছিল মেঘখানি বুকে তার।
এখনো শ্বসিছে বায়ু, মনে যেন হয় হয়,
ছিল তরু-লতা-কুঞ্জু-তৃণ-গুল্ম ফুলময়।
এখনো ভবিছে ধরা, নহে বহুদিন-কথা,
আকাশে নীলিমা ছিল, ভূমিতলে শ্যামলতা।
এ রুদ্ধ কুটিরে মোর এসেছিল কোন্ জনা?
এখনো আঁধারে যেন ভাসে তার রূপ-কণা।
মুরছিয়া পড়ে দেহ, আকুলিয়া উঠে মন,
শয়নে তৈজসে বাসে কাঁপে তার শরপন।
এসেছিল কত সাধে, মনে যেন পড়ে-পড়ে,
পুরে নাই সাধ তার, ফিরে গেছে অনাদরে।
কাতর নয়নে চেয়ে—কোথা গেল নাহি জানি,
মরুর উপর দিয়া নব-নীল মেঘখানি।
কি ভাবিছে আমারে সে, কোথা বসে অভিমানে।
আগে কেন বুঝি নাই,–সেও ব্যথা দিতে জানে।
ভাঙিয়া গিয়াছে ঘুম, কেন গো স্বপন আর
কুয়াশা-আঁধার ভাবে শারদ পূর্ণিমা তার।