বাস্তুতন্ত্রে বিভিন্ন শক্তির উৎস থাকলে ও সূর্যালোক হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এটি হল একটি ক্রিয়াশীল একক, যার মধ্যে জীবজ উপাদানগুলি (গাছ, জীবজন্তু, মানুষ ও সূক্ষ্ম প্রাণী এবং অজীবজ উপাদানগুলি অনেক ধরনের চক্রীয় পদ্ধতির সাহায্যে পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
বাস্তুতন্ত্রের নিজস্ব উৎপাদনশীলতা আছে, যা শক্তির পরিমাণের প্রাপ্যতার উপর নির্ভরশীল। উৎপাদনশীলতা হল একটি নির্দিষ্ট একক জমিতে প্রতি একক সময়ে জৈবপদার্থের বৃদ্ধির মাত্রা ৷
বাস্তুতন্ত্র হল প্রাকৃতিক সম্পদ প্রণালি বা ‘Natural resource system’ এবং অন্যান্য প্রণালির বৈশিষ্ট্যগুলিকেও বাস্তুতন্ত্র ধারণ করে।
বাস্তুতন্ত্রের একটি বিশেষ গঠন বা Structure থাকে।
যে কোনো প্রদেয় স্থান কাল এককের বাস্তুরীতি হল সমস্ত জীবিত প্রাণী এবং ভৌত পরিবেশের যোগফল।
বাস্তুরীতিতে তিনটি উপাদান থাকে। যথা, শক্তি উপাদান, সজীব উপাদান ও অজীব উপাদান।
ভূপৃষ্ঠের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল নিয়ে বাস্তুতন্ত্র গঠিত।
একদিকে সজীব ও অজীব উপাদানগুলির পরস্পরের মধ্যে, অন্যদিকে জীবগুলির নিজেদের মধ্যে জটিল মিথস্ক্রিয়া লক্ষ করা যায়, অর্থাৎ বাস্তুতন্ত্র সবসময় ক্রিয়াশীল থাকে।
বাস্তুতন্ত্র স্থানিক অবস্থানের পরিমাণের উপর নির্ভরশীল। এমনকি একটি ছোটো গাছ ও ছোটো জীবদের নিয়ে একটি বাস্তুতন্ত্র গঠিত হতে পারে। আর বাস্তুতন্ত্রের সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ হল সমস্ত জীবমণ্ডল ।
এটি হল একটি উন্মুক্ত প্রণালি বা Open system যার মধ্যে সবসময় ‘বস্তু ও শক্তির যোগান (in- put) ও Output উৎপাদন দেখা যায়।
বাস্তুতান্ত্রিক উন্নয়নের বিভিন্ন পর্যায় আছে। পরিবেশগত পরিকল্পনার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা আছে।
এটি একটি নির্দিষ্ট সময়-এককের ভিত্তিতে গঠিত ।
References
Study Material Elective Geo EGO : 05, Dr. Ghosh Paramarth 2007