একদিকে কঠিন রাগে রুষ্ট সিরাজ
সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজদের প্রতি,
দম্ভ তাদের দেখতে নারাজ
ভাঙবে সে তাদের বুকের ছাতি ।
তাইতো যুদ্ধে নিয়েছে প্রস্তুতি ।
অন্যদিকে সেনাপতি মিরজাফর ইংরেজদের সনে,
চুক্তি করেছে গোপনে ।
বাংলার নবাব সে হবে,
যদি পরাজিত হয় সিরাজ
পলাশীর রণে ।
তাইতো বিবেকহীন বাংলার সেনাপতি
উল্লাসে হাসিয়া কই –
ইহা আমার মতি –
‘পরাজিত তো হবেই নবাব ;
এটাই মিরজাফরের শেষ জবাব।’
এবার সিরাজ পলাশীর প্রান্তরে-
সাম্রাজ্যবাদীদের পরাজিত করবে,
এই আশা রয়েছে তার অন্তরে।
যে সফল সে হবেই হবে
এটাই সে মনে মনে ভাবে।
কিন্তু হলনা বয়ে গেল এক কঠিন দিন
পরাজিত করল তাঁকে ঐ বিবেকহীন
সেনাপতির বিশ্বাসঘাতকতা।
তাইতো নির্লজ্জ সাম্রাজ্যবাদীরা অর্জন করল
এই যুদ্ধের সফলতা ।
চুক্তি অনুযায়ী ইংরেজরা মিরজাফরের
হাতে করল অর্পণ ।
এই বাংলার সিংহাসন ।
বাংলার মসনদে বসিয়া বিশ্বাসঘাতক,
সুখে করে দিন যাপন ।
একি! টিকলোনা বেশী দিন তার এই সুখ
বুঝতে পারলো প্রকৃত রাজা দ্বিমুখ,
তবে কি তারাও বিশ্বাসঘাতক?
কথাতো ছিলনা এমন –
যে তারা নবাবকে করবে শাসন ৷
সাম্রাজ্যবাদীরা শাসিয়ে গেল ‘তুমি বিশ্বাসঘাতক নবাব
তুমি প্রবঞ্চক, তুমি মোদের হাতের পুতুল,
আর প্রলোভন দেখানো আমাদের স্বভাব
এইভাবে আমরা বজায় রাখি ‘দু-কূল’।।