সমস্যা, সমস্যা, সমস্যা । এখন কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি । পৃথিবীতে কলকারখানা বেড়ে গিয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে । বিঞ্জান সম্মত উপায়ে দূষণ কমাতে হবে । বৃক্ষরোপণেও কিছু কাজ হবে ।
পৃথিবীর বুকে নানা জীবজন্তুর সহাবস্থান । তার মধ্যে হিংস্র জীবজন্তুর সীমানা ঘিরে দিয়ে অন্যান্য জীবজন্তু বাঁচার পথ সুগম হয়ে ওঠে ।
জীবজগতের শেষ্ঠ জীব মানুষ । মানব বন্ধনে সৌভ্রাতৃত্ববোধ আসে। প্রথমে শিশু পরিবারের কাছ থেকে শেখে । এই পরিবারে বাবা মা ভাই বোন মিলে মিশে থাকে । ছেলে মেয়ে মানুষ করতে করতে সমস্যা এসে দাঁড়য় । মা বাবা ছেলেমেয়েদের বড়ো করে তোলে কষ্ট করে; সমস্যাতো সে রকম মনে করে না । কিন্তু দেখি কিছু ছেলে উচ্চমার্গের বিদ্যায়তনে পড়ে ঊর্ধ্বে মুখী হয়ে বাবা মাকে দেখার অবকাশ পায় না । নবাগতা রমণীর রমণীয়তা বজায় রাখতে ব্যস্ত থাকে । পথ চলতে গিয়ে ছেলে না মেয়ে চেনা বড়ো দায় । সেটা সমস্যা থেকে যায়। সকলের যে অধিকার সমান, তাই । আধুনিকতা। অত্যাধুনিকতা । কোন সংস্কৃতি গ্রহণ করতে হবে- আমেরিকার না মুম্বাই- এর ফিলমি জগতের । ছেলে মেয়েদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাচ্ছে । মাস্টার মশাইরা আর সামাল দিতে পারছেন না । আমি মনে করি পুরুষের পৌরুষ থাকবে- রমণীর থাকবে রমণীয়তা । অধিকার থাকবে সবারই- তবে শালীনতা বজায় রেখে ।
মস্তান। কাকে বলে ? জানতাম যে ব্যক্তি পার্থিব সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে মালিককে পাবার প্রবণতায় আধ্যাত্মিক জগতে মনোনিবেশ করেন- তিনিই মস্তান। আর আজ ! পথে দাঁড়িয়ে একটা ব্লেড্ বের করে হাত ঘোরাতে ঘোরাতে গর্জে বলে- ‘কে আছে এমন দাদা, আয়!’ – সে মস্তান । তারা মনে করে তাদের মুঠোয় জগৎটা । নেপথ্যে ডাক- জানিস, জানিস, দলের মধ্যে এমন কিছু না থাকলে হয় না । গাঁয়ের মধ্যে এমন ছেলেরও দরকার ।
না, না, না- এমন ঠিক না । এহসানের পথে থাকো ।
বিশ্বজগতে সন্ত্রাস । কেন এটা ? এই সমস্যার কি সমাধান নাই । সামনে বৈশাখ । কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের জন্মলগ্ন । রাজর্ষি উপন্যাসে লেখা আছে- ‘এত রক্ত কেন ? আজও পৃথিবীতে কত পিতা, কত মাতা, ভাই- বোন, স্বামী- স্ত্রী, বৃদ্ধ- বৃদ্ধা বলছে ‘এত রক্ত কেন ?’ সমাধানের পথ বের করতে হবে । প্রশাসকে সক্রিয় হতে হবে, নেতাদের বোঝাতে হবে, সমাজসেবীদের তাদের কাছে যেতে হবে; বলতে হবে, তাদের সুপথে নিয়ে চলতে হবে । শুধু ‘দিতে হবে’, ‘দিতে হবে ‘ ধ্বনি না তুলে সামাজিক শিষ্টাচার শেখাতে হবে । তবেই সমস্যার সমাধান হবে ।