The Dictionary of Human Geography (ed. by R. J. Johnston) এর মতে জনসংখ্যা ভূগোল হল- ‘The study of the ways in which spatial variations and growth of population are related to the nature of place.’ সোজা কথায় জনতার গঠন, বণ্টন, পরিযান এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি কিভাবে কোন স্থানের সাথে সম্পর্কিত অর্থাৎ স্থানিক পার্থক্য নির্ণয়ই হল জনসংখ্যা ভূগোল।
American Geography : Inventory and Prospects-এর সম্পাদকদ্বয় Preston E. James এবং C. F. Jones-“The Geography of Population is concerned with area differentiation of a peculiar kind. Geographers always deal with phenomena which are so distributed over the curved surface of the earth that the patterns of distribution cannot be seen in one glimpse” অর্থাৎ জনসংখ্যা ভূগোল একটি বিশেষ ধরণের আঞ্চলিক পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করে। পৃথিবীর বক্রপৃষ্ঠে জনসংখ্যা বণ্টনে যে অসাম্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা করা ভৌগলিকদের কাজ।
James and Jones আরো বলেছেন যে জনসংখ্যা ভূগোলের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হল মানুষের সঙ্গে অন্যান্য সম্পর্ক নষ্ট না করে জনসংখ্যা বন্টনের একটি সাধারণ সূত্র বার করা।
In the field of population geography the need is to find a way to generalize the distribution of people without observing the relationships of man to the phenomena with which he is really associated.
Trewartha তাঁর Geography of Population গ্রন্থে যথার্থই মন্তব্য করেছেন যে, ‘Population serves as the point of reference from which all other geographic elements are observed and from which they all singly and collectively desire significance and meaning.’ Trewartha আরো বলেছেন যে, ভূ-পৃষ্ঠে মনুষ্যবসতির যে পার্থক্য রয়েছে তাও এই ভূগোলের অন্তর্ভূক্ত। ক্ষেত্রীয় বিভাজন (areal differentiation) যেমন ভূগোলের আলোচ্য বিষয় তেমনি মানুষও হল এই ভূগোলের কেন্দ্রবিন্দু।
Clarke (Population Geography)-এর মতে জনসংখ্যা ভূগোল হল কোন স্থানের প্রাকৃতিক পার্থক্যের মধ্যে জনসংখ্যার বন্টন, গঠন, পরিযান এবং জনবৃদ্ধির স্থানিক পার্থক্যের সম্পর্ক। Clarke আরো বলেছেন যে, জনসংখ্যা ভূগোলের মূল কথা হল— প্রাকৃতিক এবং মানবীয় পরিবেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ ।
উপরোক্ত লেখকদের (Clarke ও Trewartha) জনসংখ্যা ভূগোলের সংজ্ঞা নিয়ে মত পার্থক্য নেই বললেই চলে।
রাশিয়ান ভূগোলবিদ Melezin-এর মতে জনসংখ্যা ভূগোল হল জনতার বন্টন এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর উৎপাদনের সম্পর্কের আলোচনা।
Ackerman-র মতে মানুষের নৃতাত্ত্বিক সম্পর্ক, স্থানগত বন্টনের গতিশীল উৎপাদন এবং তাদের পারস্পরিক পরিবর্তন সম্পর্ক নিয়ে সাধারণ ভূগোলের যে অংশ পর্যালোচনা করে তাকে জনসংখ্যা ভূগোল বলে।
Zelinsky (A Prologue to Population Geography)-এর মতে জনসংখ্যা ভূগোল হল— ‘The Science that deals with the ways in which the geographic character of places is formed by and in turn, reacts upon, a set of population phenomena that vary within it through both space and time.’
সোজা ভাষায় জনসংখ্যা ভূগোল হল এক বিজ্ঞান যার আওতায় রয়েছে কোন স্থানের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের সৃষ্টি এবং ভৌগলিক বিষয়সমূহের ওপর প্রভাব। স্থান ও কালের সঙ্গে সঙ্গে এসব প্রভাবের পার্থক্যের রূপরেখা নিয়েও এই ভূগোল আলোচনা করে।
Beaujeu Garnier তাঁর Geography of Population -এ ভূগোলের যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তা হল বর্তমান পরিবেশের প্রেক্ষাপটে জনমিতিক বিষয়গুলির বর্ণনা ও ব্যাখ্যা, আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য ও সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে বিশ্লেষণ। বিজু-র মতে এই ভূগোলের the most elementary fact is the distribution of population.
C. Chandna ও M. S. Sidhu (Introduction to Population Geography)-এ বলেছেন যে, এই ভূগোল হল জনতার স্থান ও কালের ব্যাখ্যা তথা অভিব্যক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া। Chandna আরো বলেছেন, যে, স্থানিক বন্টন ও তা সৃষ্টিকারী পদ্ধতিগুলোর অনুসন্ধান আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যের রূপরেখাকে আরো অর্থবহ করে তোলে।
P.F. Griffin-এর মতে জনসংখ্যার পরিমাণগত ও গুণগত বিষয়ের পাশাপাশি ভৌগোলিক এলাকার প্রকৃতি অনুযায়ী জনসংখ্যার কাঠামো, বণ্টন, অভিগমন এবং পরিবর্তনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনাই হল জনসংখ্যা ভূগোল । জনসংখ্যা ভূগোলের এ রকম অনেক সংজ্ঞা দেওয়া যেতে পারে। তবে উপরোক্ত সংজ্ঞাগুলিকে বিশ্লেষণ করলে বলা যায় যে কোন স্থানের জনসংখ্যার বৃদ্ধি, বণ্টন, পরিবর্তন, পরিযান ও নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদির আলোচনাই হচ্ছে জনসংখ্যা ভূগোল।
বিশদভাবে বললে বলতে হয় যে সব অবস্থার কারণে জনসংখ্যা পরিবর্তন ঘটে এবং ভৌগলিক পরিবেশের তারতম্য হেতু জনসংখ্যার কাঠামোর পরিবর্তন ঘটে তার এলাকাভিত্তিক গুণগত এবং পরিমাণগত বিশ্লেষণকে জনসংখ্যা ভূগোল বলা হয়।
References
Study Material Elective Geo EGO : 10, Dr. Sen Jyotirmoy 2008